আগামীকাল সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন স্বাধীনতা ও শেখ মুজিবুর রহমানকে বদনাম ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য মিনহাজুল ইসলাম কে মেজর,ডালিম সাজিয়ে লাইভে এসে দেশের সাধারণ জনগণ কে ধোকা দেয়।
প্রমান নিচের ভিডিও
সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা যাকে মেজর ডালিম বলে মন্তব্যের তীর ছুঁড়ে দিয়েছেন, এবার সেই মিনহাজুল আরেফিন সিদ্দিক সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।পোস্টে মি. সিদ্দিক উল্লেখ করেন,সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি,রাতারাতি মেজর ডালিম হয়ে গেছি।আর বট বাহিনী ঝাপাইয়া পড়ছে আমার প্রফাইলে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁর এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ৬৩৫ বার শেয়ার হয়েছে।পোস্টটি নিয়ে মন্তব্য করেছেন,৫৪৪ জন।
অনেকেই মন্তব্যের ঘরে মি.সিদ্দিককে সাজেস্ট করেছেন এই সুযোগে নিজের ফেসবুক আইডি ভেরিফাইড করে নেওয়ার জন্য।
১/১১’র পর ২০০৭ সালে বঙ্গবন্ধুর এক খুনি কর্নেল রশিদকে জাতির সামনে হাজির করা হলো।
সে বললো, বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় আরেক খুনি ডালিমকে হাজির করা হলো।
সেও বললো, বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান।
তখনকার মাইনাস টু, আর এখনকার মাইনাস টু অনেক মিল। তখনো দৃশ্যপটে ছিলেন ড. ইউনুস, এখনো তিনিই আছেন।
আগামীকাল খালেদা জিয়ার দেশত্যাগ। সময় বদলায় তাদের উদ্দেশ ও লক্ষ্য বদলায় না।
বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিমের কথা অনুযায়ী। সে বলেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র সে যুদ্ধের সময় থেকেই নিয়ে আসছে। তাদের সেই পরিকল্পনায় কোরান শরীফে হাত রেখে শপৎ নিয়ে মেজর জিয়া প্রথম থেকেই ছিলো। এবং মেজর জিয়া কে সামনে রেখেই তারা ২৫ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিলো। তার ভাষ্যে উঠে এসেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মিশন কম্লিট হবার পর মেজর জিয়া তাদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ও সেনা অফিসারকে পরবর্তীতে হত্যা করেছিলেন।
তার কথায় আরেকটা সত্য উঠে এসেছে যেটা আওয়ামী অনেক লেখক, সাংবাদিক আগে থেকেই বলে আসছিলেন। সেটা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ অংশগ্রহণ। ডালিম বলছে, যুদ্ধের শেষ দিকে মেজর জিয়াকে যুদ্ধের ময়দান থেকে তুলে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়েছিল। যদিও এটাকে মেজর ডালিম ভারত বিরোধিতার রঙে রাঙিয়ে জাস্টিফাই করতে চেয়েছে। কিন্তু সে ভুলে গেছে, বাংলাদেশ তখনো স্বাধীনই হয় নাই! সে ভুলে গেছে, ভারতই প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিলো। সে ভুলে গেছে, মেজর জিয়া, নুর চৌধুরী সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা দেশ স্বাধীনের পরে বঙ্গবন্ধুর সাথেই সর্বক্ষেত্রে সংযুক্ত ছিলো। এবং বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় এর বহু আগেই বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে ভারত বাংলাদেশ থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো।
তার পুরো আলোচনায় কোথাও বঙ্গবন্ধুর কোন দোষ তুলে ধরতে পারেনি। শেখ কামাল আর তার বউয়ের বিষয়ে যে প্রপাগাণ্ডা চালু ছিলো সেটাও তার ভাষ্যে সম্পূর্ণ মিথ্যে।
বঙ্গবন্ধুর বদনাম বলতে সে যেটুকু বলেছে তার প্রধান একটা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু নাকি এদেশের স্বাধীনতাই চাননি। অথচ আলোচনার এক পর্যায়ে সে-ই বলছে, শেষবার যখন বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিল তখন কথাবার্তার প্রেক্ষিতে সে বঙ্গবন্ধুকে বলেছে, আপনি একাত্তর পূর্ব শেখ মুজিব নন! স্বাধীনতার নায়ক আর প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের মধ্যে অনেক তফাৎ দেখা যাচ্ছে!
বঙ্গবন্ধু কি ছিলেন সেটা স্বয়ং তার খুনি যদি বিশ্লেষণ করে তবে সেটা কেমন দেখায়? নিশ্চয়ই খুনি তার ভিকটিমকে মহান হিসেবে উপস্থাপন করবেনা? তবে জেনে যাও অকৃতজ্ঞ বাঙালি, বঙ্গবন্ধুর প্রধান খুনিও তার বক্তব্যে বহু চেষ্টা করেও সেই মহান মানুষটিকে কলংকিত করতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধু তেমনই এক মহান মানুষ ছিলেন।
0 Comments