শেখ হাসিনার শিগগির দেশে ফেরার ঘোষণা, ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের প্রতিরোধের প্রস্তুতি

 


শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, গতকাল এক ফোন আলাপে জানিয়েছেন যে, তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন। তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন তা হলো:

১. সম্পদের হিসাব: সব উপদেষ্টা, সমন্বয়ক, তাদের পরিবারের সদস্যদের—স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, মা-বাবার—সম্পদের হিসাব বের করতে হবে। ২. দুর্বার আন্দোলন: ফেব্রুয়ারী মাস থেকে আওয়ামী লীগকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ৩. বাজে কথা মুছে ফেলা: দলীয় নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে সব ধরনের বিরোধ এবং বাজে কথাবার্তা মুছে ফেলতে হবে। ৪. জয় বাংলা শ্লোগান: দেয়ালের মধ্যে জয় বাংলা শ্লোগান লিখতে হবে, যাতে ঐক্য এবং সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। ৫. জনগণের কাছে যাওয়া: দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যা ও দাবি তুলে ধরতে হবে। ৬. বঞ্চিতদের কাছে যাওয়ার আহ্বান: তৃণমূলের বঞ্চিতদের কাছে পৌঁছাতে হবে, তাদের মধ্যে একতাবদ্ধতা তৈরি করতে হবে। ৭. বিএনপি-জামায়াতের ওপর নজর: সার্ভে করার নামে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের কার্যকলাপ সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে।

এই নির্দেশনার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে আশাবাদী দলের নেতারা। এদিকে, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি সর্বাত্মক হরতাল ও ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। দলের নেতারা বলছেন, মার্চের মধ্যে আওয়ামী লীগ তাদের সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করবে এবং ৭ মার্চের মতো দেশের ইতিহাসে একটি নতুন সংগ্রামের সূচনা হবে।

এছাড়াও, আওয়ামী লীগ দলের নেতা কর্মীরা ফেব্রুয়ারিতে জামিন পেয়ে মাঠে নামবেন এবং অনেক নেতার দেশে ফিরে আসবেন। আওয়ামী লীগ বিজয় মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বিশেষত, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ নিয়ে একটি পরিকল্পনা চলছে, যাতে তারা কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই একযোগে ঢাকায় নামবে।

এখন, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত, এবং তারা মনে করছেন যে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের পক্ষে থাকবে, যা তাদের আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করবে।

এদিকে, জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসবে এবং তাদের সম্ভাব্য পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা ৩২ নম্বর ধানমন্ডি কার্যালয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এই দলের লক্ষ্য হবে, বাংলাদেশে উগ্রবাদী কার্যক্রম এবং জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রস্তুত করা।

শেখ হাসিনা মার্চের মধ্যেই দেশে ফিরে এসে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন এবং আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বিজয়ের পথে অগ্রসর হবেন।

এভাবে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শিগগিরই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে চলেছে।

Post a Comment

0 Comments

Comments